City of Education

Uncategorized

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃস্বাস্থ্য সুরক্ষা (Wellbeing)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী বয়সভিত্তিক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা এবং এর চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবেলা করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সুরক্ষিত থেকে নিজে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারা ও অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে পারা। নিজের ও অন্যের মতামত ও অবস্থানকে সম্মান করে ইতিবাচক যোগাযোগের মাধ্যমে পারবারিক, সামাজিক ও বৈশ্বিক পরিসরে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সক্রিয় ও মানবিক নাগরিক হিসেবে অবদান রাখা । বিষয়ের ধারণায় অন্তঃ ও আন্তঃব্যক্তিক পরিবর্তন এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে নিজ স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সকলকে নিয়ে ভালো থাকা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিজে ভালো থাকার এবং অন্যকে ভালো রাখার উপর মানুষের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ জীবন অনেকাংশে নির্ভর করে যা সুস্থ সমাজ এবং নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিপূর্বে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত যোগ্যতাসমূহকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অংশ কিংবা সহ বা অতিরিক্ত শিক্ষাক্রমিক কাজ হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। কিন্তু অন্তঃ ও আন্তঃব্যক্তিক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে ইতিবাচকভাবে মোকাবেলা করে সকলকে নিয়ে ভালো থেকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেকের কিছু বিশেষ যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এই যোগ্যতাসমূহ আপনা-আপনি তৈরি হয় না, বরং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-বিষয়ক শিক্ষা ও পরিচর্যার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জিং, উপভোগ্য, সমসাময়িক, সক্রিয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। এই অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীরা নিজের এবং অন্যের বৈশিষ্ট্য, সামর্থ্য, সীমাবদ্ধতা, আবেগ, অনুভূতি পছন্দ ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণার ভিত্তিতে নিজেকে বুঝে এবং অন্যের অবস্থান অনুধাবন করে ইতিবাচক, কার্যকর যোগাযোগ ও সম্পর্ক ব্যবস্থাপনাসহ তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে নিয়ে সফল ও আনন্দময় জীবনযাপন করতে পারে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি ধারণায়নে প্রতিক্রিয়াভিত্তিক (Reactive) উদ্যোগের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতায়ন (Empowerment) কৌশল বিবেচনা করা হয়েছে যা সময়সাপেক্ষ হলেও শিক্ষার্থীদের কঠিন বাধা দূর করে ভিতর থেকে আত্মবিশ্বাসী ও মানবতাবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে টিকে থাকতে (Resilience) সহায়তা করে। এ সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাসমূহ অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের ও অন্যের আবেগ ও অনুভূতি অনুধাবন করে ভাব বিনিময় ও মত প্রকাশ, কার্যকর অংশগ্রহণ, আত্মবিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা (বজায় রাখা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছিন্ন করা), সফলতা ও ব্যর্থতা অনুধাবন ও ইতিবাচকভাবে মোকাবেলা, আবেগ ও মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা সর্বোপরি আত্ম-পরিচর্যার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ, সংবেদনশীল ও পরিশীলিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানুষ, সমাজ ও পৃথিবীর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা অন্যের আবেগ, অনুভূতি, আনন্দ, বেদনা অনুধাবন করে সমব্যথা বা সম-আনন্দ অনুভব করে এবং সকল প্রকার ঝুঁকি, দ্বন্দ্ব, হতাশা, ক্ষোভ, বিদ্বেষ নিরসনের মাধ্যমে মানব ও প্রকৃতি সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে অর্থবহ জীবনযাপনের মাধ্যমে ভালো থাকতে পারে । বিষয়ের যৌক্তিকতা, গুরুত্ব এবং ক্ষেত্রসমূহ বিবেচনায় নিম্নলিখিতভাবে এর ধারণায়ন করা হয়েছে। শরীর ও মনের যত্ন ও পরিচর্যা : স্বাস্থ্য সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হলো নিজের পরিচর্যা অর্থাৎ নিজেকে ভালোবেসে শরীর ও মনের যত্ন ও পরিচর্যা করা। শিক্ষার্থীর শরীর, মন এবং পরিবেশের প্রতিনিয়ত অন্তঃ ও আন্তঃমিথ ক্রিয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতির স্বাস্থ্যকর, ইতিবাচক, সংবেদনশীল ও কার্যকরী ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিনিয়ত নিজের যত্ন ও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। সুতরাং নিরবিচ্ছিন্নভাবে আত্ম-পরিচর্যা করতে পারার যোগ্যতা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য অত্যাবশ্যক। দৈনন্দিন এবং বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও খেলাধুলা, রোগ ও দুর্ঘটনা, ঝুঁকি মোকাবেলা, আবেগ ব্যবস্থাপনা, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, চাপ মোকাবেলা, শখ ও বিনোদন, অংশগ্রহণ, স্বেচ্ছাসেবা ইত্যাদি সার্বিকভাবে আত্ম-পরিচর্যার অংশ। আত্ম-পরিচর্যায় শরীর ও মনের সঙ্গে পরিবার ও সমাজের মিথস্ক্রিয়ার প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিজে ভালো থ াকার অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে অন্যকেও ভালো রাখা । যথাযথভাবে জেনে, বুঝে, অনুধাবন ও উপলব্ধি করে কার্যকরী আত্ম-পরিচর্যা করতে হলে নিম্নবর্ণিত সক্ষমতাসমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ১. আবেগিক বুদ্ধিমত্তা : নিজের আবেগ অনুভূতির অনুধাবন ও উপলব্ধি, ইতিবাচকভাবে প্রকাশ ও ব্যবস্থাপনাসহ অন্যের আবেগ ও অনুভূতি বোঝা এবং তা সম্মান করে যৌক্তিক ও স্বাস্থ্যকর যোগাযোগ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারা এবং ধৈর্য্য ও সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করার যোগ্যতা এই ধরণের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত। চিন্তাকে যৌক্তিক, বিশ্লেষণধর্মী ও গঠনমূলক রেখে, প্রাধিকার নির্ধারণ করে ইতিবাচকভাবে ভূমিকা রাখতে পারাও এই যোগ্যতাসমূহের অংশ। ২. আত্ম-বিশ্লেষণ : নিজের বৈশিষ্ট্য, গুণাবলি, সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করে বিশ্লেষণ ও যৌক্তিক মুল্যায়নের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ, মূল্যায়নকে বিশ্লেষণধর্মী ও গঠনমূলক রেখে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া, অনুভূতি ও আচরণের সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী যথাযথ সহায়তা চাইতে পারা ইত্যাদি এই ধরনের যোগ্যতাসমূহের অন্তর্ভুক্ত । ৩. সামাজিক বুদ্ধিমত্তা : সমাজের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সকলের সঙ্গে থেকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক অংশগ্রহণ ও ভূমিকা রাখা এবং নিজের কার্যক্রম ও ভূমিকায় সন্তুষ্ট থেকে নিজেকে শ্রদ্ধা করা ও ভালোবাসতে পারার জন্য সামাজিক বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের এবং অন্যের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করে যৌক্তিকভাবে আত্ম-বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক গঠন ও বজায় রাখা, আন্তঃ সম্পর্ক সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি ও চাপ মোকাবেলা/ব্যবস্থাপনা, ধৈর্য্য ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে আবেগ ও চাপমুক্ত থেকে দৃঢ়তা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যয় ও নমনীয়তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসন ও সমঝোতা করতে পারা এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক বজায় রাখতে পারা সামাজিক বুদ্ধিমত্তার অন্যতম যোগ্যতা । সুতরাং শরীর, মন, পরিবার ও সমাজের প্রতিনিয়ত মিথস্ক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে আবেগিক বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্লেষণ এবং সামাজিক বুদ্ধিমত্তা অর্জন করে নিজেকে ভালোবেসে নিজের দায়িত্ব উপলব্ধি করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে শরীর ও মনের যথাযথ যত্ন ও পরিচর্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো থাকার এবং অন্যকে ভালো রাখার যোগ্যতা অর্জন করবে। ===000=== তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃধর্ম শিক্ষা (Religion Studies)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী ধর্মের মৌলিক জ্ঞান, বিশ্বাস ও জ্ঞানের উৎসসমূহের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলব্ধি করে ধর্মীয় বিধিবিধান অনুসরণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি অর্জন ও ধারণ করতে পারা । সৃষ্টিজগতের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্বপালন এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারা। বিষয়ের ধারণায় নিজ ধর্ম সম্পর্কে জানা এবং ধর্মীয় জ্ঞান, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, বিধিবিধান ও অনুশাসন উপলব্ধি করে তা নিজ জীবনে অনুশীলন করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ধর্ম এক দিকে যেমন জীবনের অর্থ, মূল্য ও উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করে তেমনি নিজেকে ও অন্যকে বুঝতেও সহায়তা করে। নিজেকে সৎ, নীতিবান, দায়িত্বশীল, দয়ালু ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, নিন্দনীয় ও বর্জনীয় কাজ থেকে বিরত রেখে সহনশীল, অসাম্প্রদায়িক, শুদ্ধ মানুষ রূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ধর্মশিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পাশাপাশি অন্যের ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শন করে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে ধর্মের নিগূঢ় মর্মবাণী উপলব্ধি করা জরুরি যা সঠিকভাবে ধর্মশিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি এবং ধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসকে অপব্যাখ্যা করে কেউ যেন মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করতে না পারে কিংবা কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি করতে না পারে তার জন্যও সঠিকভাবে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ করা জরুরি। উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে সঠিকভাবে ধর্মশিক্ষার জন্য শিক্ষাক্রম রূপরেখায় ধর্মশিক্ষা বিষয়টিকে তিনটি পরস্পর সংযুক্ত ক্ষেত্রের মাধ্যমে ধারণায়ন করা হয়েছে। ধর্মীয় জ্ঞান, ধর্মীয় বিধিবিধান এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ ক্ষেত্রের মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয় এবং এ সংশ্লিষ্ট যোগ্যতাসমূহ অর্জনকে প্রাধান্য দেয়া হবে- যা সার্বিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষার যোগ্যতাসমূহ অর্জনে সহায়তা করবে। ধর্মীয় জ্ঞান ধর্মীয় মৌলিক জ্ঞান ও বিশ্বাস, জ্ঞান আহরণে আগ্রহ ও জ্ঞানের উৎস, জ্ঞান অন্বেষণ পদ্ধতি, জ্ঞানের ব্যবহার ও প্রয়োগ ধর্মীয় বিধিবিধান ধর্মীয় রীতিনীতি ও আচার জেনে ও উপলব্ধি করে চর্চা করা, ধর্মীয় অনুশাসনের গুরুত্ব ও অন্তর্নিহিত সৌন্দৰ্য্য অনুধাবন ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রশংসনীয় ও অনুসরণীয় আচরণ গ্রহণ ও চর্চা এবং নিন্দনীয় আচরণ বর্জন ধর্মশিক্ষা বিষয়ের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় অনুশাসন ও বিধিবিধানের সৌন্দর্য উপলব্ধি ও চর্চায় অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে স্থিতিশীল, সৌহার্দ্যপূর্ণ সুখী সমাজ তথা বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব যা শিক্ষাক্রম রূপরেখায় প্রাধান্য পেয়েছে। ===000=== তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃজীবন ও জীবিকা (Life and Livelihood)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী পরিবর্তনশীল কর্মজাত, কর্মের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সকল কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়ন করা, কর্মজগতে প্রবেশের প্রস্তুতি হিসেবে দৈনন্দিন কাজ অনুশীলনের মাধ্যমে প্রাক-যোগ্যতা, কর্মজগতের উপযোগী প্রায়োগিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা, কর্মজগতে ঝুঁকিমুক্ত ও সুরক্ষিত থেকে ভবিষ্যৎ দক্ষতায় অভিযোজন করতে পারা এবং সকলের জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে পারা। বিষয়ের ধারণায়ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রার ফলে এই শতাব্দীর শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই একটি পরিবর্তনশীল বিশ্বের সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে জীবিকা বদলে যাচ্ছে, নিত্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। বর্তমান বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। পূর্বে মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, বিগডাটা, কৃ ত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানো টেকনোলোজি, থ্রি-ডাইমেনশন প্রিন্টার, জেনেটিক্সসহ একুশ শতকের আরো অনেক প্রযুক্তি আলাদাভাবে বিকশিত হতে থাকলেও বর্তমানে এই প্রযুক্তিসমূহ পরস্পর নির্ভরশীল হয়ে এমনভাবে দ্রুত গতিতে বিকশিত হচ্ছে যা পুরো বিশ্ব ব্যবস্থাকেই নতুন করে বিন্যস্ত করছে। এ কারণে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ভবিষ্যতের শিল্পবিপ্লবের ধাক্কায় বদলে যাওয়া কর্মজ্ঞাতে আগামী প্রজন্মের টিকে থাকা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জীবন দক্ষতা ও কর্মযোগ্যতা তৈরি করা জরুরি। একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে- যে শিশুরা আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়, তাদের ৬৫% কর্ম জগতে প্রবেশ করবে এমন একটি কাজ বা চাকুরি নিয়ে, যে কাজের বা চাকুরির কোনো অস্তিত্বই বর্তমানে নেই” । এরকম দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং অজানা বিশ্বকে বিবেচনা করে, আজকের শিক্ষার্থীদের, তাদের কর্মজগতে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের নিমিত্তে ‘জীবন ও জীবিকা’ বিষয়টির নকশা প্রণয়ন করা হয়। ব্যানবেইস ২০১৯ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের পূর্বে প্রায় ১৮% শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি সমাপ্তের আগে মাধ্যমিক শিক্ষাথীর প্রায় ৩৮% এবং দ্বাদশ শ্রেণি সম্পূর্ণ করার পূর্বেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীর প্রায় ২০% শিক্ষার্থী শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ঝরে পড়ে। অর্থাৎ গড়ে প্রায় ৭০% শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণি সম্পূর্ণ করার পূর্বেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে এবং কোনোরকম পেশাগত প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা ছাড়াই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে। আবার উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক সমাপ্তির পরও অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী বেকার থাকে। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখা গেছে কর্মজগতের চাহিদা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ঘাটতি। তাই সাধারণ শিক্ষাধারার সকল শিক্ষার্থীই মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক শেষে যেন পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে শ্রমবাজারে সরাসরি যুক্ত হতে পারে এই লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষাধারায় ‘জীবন ও জীবিকা’ নামে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জীবন ও জীবিকা বিষয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত কর্মজগতে প্রবেশের জন্য নিজেকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে পরিবর্তনশীল শ্রমবাজার বিবেচনায় নিয়ে সঠিকভাবে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং করতে পারবে। সে লক্ষ্য বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদ্ধতিগতভাবে বিভিন্ন বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি একুশ শতকের উপযোগী প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবে। কর্মজাতে প্রবেশের জন্য রূপান্তরযোগ্য দক্ষতা (ট্রান্সফারেবল স্কিল) ও বৃত্তিমূলক (অকুপেশনাল) দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজ, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের কাছে তার দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করে তার উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সচেষ্ট হবে। এই বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কর্মের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব তৈরি এবং প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন কাজ করার সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী ও স্বনির্ভর হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। জীবন ও জীবিকা বিষয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও প্রবণতা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করে তুলবে এবং তা কাজে লাগিয়ে আগামীতে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উদ্ভূত ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারবে। উক্ত যোগ্যতা অর্জনের জন্য চারটি ডাইমেনশন নির্ধারন করা হয় : আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মউন্নয়ন : ভবিষ্যত বিশ্বের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে নিজেকে জানা সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। নিজেকে জানার মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজের পছন্দ-অপছন্দ, ভালোলাগা-মন্দলাগা সম্পর্কে নিজে জানবে সেই সাথে নিজের শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে এবং নিজের দুর্বলতা ও নিজের উন্নয়নের ক্ষেত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের মাধ্যমে নিজের উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা বহাল রাখতে পারবে। মানুষ সেই পেশায় সবচেয়ে ভালো করে যে পেশায় কাজ করতে সে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। তখন কাজকে সে আরো বেশি উপভোগ করতে পারে । এজন্য আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মউন্নয়নকে একটি ডাইমেনশন হিসেবে এখানে ধরা হয়েছে। একই সাথে ইতিবাচক আত্মসম্মানবোধের উন্মেষ ঘটানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজ, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে; নিজের কাজ, পরিবারের কাজ, বিদ্যালয়ের দায়িত্ব, সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হতে পারবে। ক্যারিয়ার প্ল্যানিং (কর্মজীবন পরিকল্পনা) : নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সিস্টেমেটিক উপায়ে শিক্ষার্থী নিজের পছন্দ ও সামর্থ্য বিবেচনা করে ভবিষ্যত পেশা নির্বাচন করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তাকে নিজের আগ্রহ, ঝোঁক, দক্ষতা বিবেচনা করে, পরিবর্তশীল বিশ্বে শ্রমবাজারের ওপর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব এবং পারিবারিক সক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি কার্যকর কর্মজীবন পরিকল্পনা করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনশীল বিশ্ব ও অজানা ভবিষ্যত বিবেচনা করে পরিকল্পনা এমনভাবে করতে হবে যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তা পরিমার্জন বা পরিবর্তন বা সময়ের সাথে সাথে সমন্বয় করা যায়। পেশাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা : শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি এমন একটি দক্ষতা অর্জন করতে পারে যাতে শিক্ষা সমাপান্তে কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে অথবা কোনো একটি নির্দিষ্ট পেশায় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান করতে পারে। কারিগরি শিক্ষার সংগে সমন্বয় করে যেকোনো একটি বৃত্তিমূলক (অকুপেশনাল) বিষয়ের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা হবে। ভবিষ্যৎ কর্মদক্ষতা : বিশ্বায়ন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ডেমোগ্রাফিক রূপান্তরের ধারার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি মূহুর্তে বৈশ্বিক পরিবর্তনের চলমান প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন পেশার সৃষ্টি হচ্ছে এবং অনেক পুরোনো পেশার সমাপ্তি ঘটছে। ভবিষ্যৎ নতুন পেশার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ রাখতে ভবিষ্যৎ কর্মদক্ষতা একটি ডাইমেনশন হিসেবে রাখা হয়েছে। অজানা পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে নিজেকে হালনাগাদ রাখা ও জীবনব্যাপী শিখনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নতুন পেশার জন্য আবশ্যিক সুনির্দিষ্ট দক্ষতাসমূহ সম্পর্কে যেহেতু আমরা জানিনা তাই একুশ শতকের দক্ষতাসমূহ বিশেষত সূক্ষ্ম চিন্তন দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, কোলাবোরেশন বা দলে কাজ করার দক্ষতা, সৃজনশীল দক্ষতা ও যোগাযোগ দক্ষতাসমূহ অর্জনের সুযোগ থাকবে। প্রতিটি ডাইমেনশনে দক্ষতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন এবং নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই বিষয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞান ও অনুধাবনের পাশাপাশি দৈনন্দিন কর্ম অনুশীলন করে ব্যবহারিক কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে এবং জীবনঘনিষ্ট কর্মকান্ডের মাধ্যমে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ অর্জন করবে। বিষয়টির পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীই কোনো একটি পেশাগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারে। স্থানীয় চাহিদা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিদ্যালয় বা শিক্ষার্থীর নিজ এলাকায় উপার্জন সংশ্লিষ্ট কাজে অংশগ্রহণ করার অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হিসেবে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। জীবন ও জীবিকা বিষয়ের মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপান্তে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পারবে, বৃত্তিমূলক (অকুপেশনাল) কোর্স সংশ্লিষ্ট কোনো একটি পেশার প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে সরাসরি কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারবে অথবা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবে। প্রাথমিক স্তরে জীবন ও জীবিকা কোনো আলাদা বিষয় নয় কিন্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বিষয়ের

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান (History and Social Sciences)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশ্বে নিজের অবস্থান, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়, প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান ও কাঠামো পর্যালোচনা করে পরিবর্তনশীলতায় ইতিবাচক ভূমিকা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা অনুশীলন করে একটি উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই বাংলাদেশ ও বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বনাগরিক হিসাবে ভূমিকা রাখতে পারা। বিষয়ের ধারণায় ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একবিংশ শতাব্দীর একজন বিশ্বনাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক যোগ্যতা সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। প্রকৃতিতে ও সমাজে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা পরিবর্তনের কার্যকারণ ও প্রভাব অনুসন্ধান করতে পারবে। যৌক্তিক অনুসন্ধান পদ্ধতির প্রাথমিক ধারণা কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামোর আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ে অনুসন্ধানের যোগ্যতা অর্জন করবে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনে সচেতন নাগরিক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের মূলনীতির আলোকে সামাজিক ন্যায়বিচার নীতি ধারণ করে সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারবে। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়টি ক্রস-কাটিং ইস্যু হিসেবে রূপরেখায় নির্ধারিত দশটি মূল শিখনক্ষেত্রের সবগুলোরই নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনে ভূমিকা রাখলেও, এতে মূলত সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং জীবন ও জীবিকা শিখন-ক্ষেত্রগুলো অধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও এসকল শিখন-ক্ষেত্রের যোগ্যতাসমূহ ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। সামাজিক বিজ্ঞানের বৃহত্তর পরিসরে যে সকল বিষয় যেমন- ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, আইন ইত্যাদি অধ্যয়ন করা হয়, সেগুলোর মূল বিষয়বস্তুসমূহ বিশ্লেষণ করে আত্মপরিচয়, প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো, পরিবর্তনশীলতায় ভূমিকা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা – এই চারটি মূল ডাইমেশন নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই চারটি ডাইমেনশনকে ভিত্তি করেই বিষয়ের ধারণায়ন করা হয়েছে। ধারণায়ন অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সামাজিক বিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রকৃতি ও সমাজের বিভিন্ন দৃশ্যমান ও বিমূর্ত কাঠামো এবং এসব কাঠামোর কাজ ও মিথস্ক্রিয়া বিষয়ে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করবে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামোর মিথষ্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে নিজস্ব ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃ তিক, ভৌগলিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সে তার আত্মপরিচয় অনুসন্ধান করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি সে অনুধাবন করবে যে চারপাশের সকল প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো এবং তাদের ভূমিকা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এ পরিবর্তনশীলতার ফলে নিয়তই কিছু সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি তৈরি হয়, যা প্রকৃতি ও সমাজকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। একজন শিক্ষার্থী এসব ঝুঁকি মোকাবিলা করে সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রকৃতি ও সমাজের পরিবর্তনশীলতায় ইতিবাচক ভূমিকা পালনের যোগ্যতা অর্জন করবে। মানবসভ্যতার বিকাশে সম্পদ একটি অপরিহার্য উপাদান। কাজেই টেকসই উন্নয়নের জন্য পৃথিবীর সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। তাই সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। আলোচ্য চারটি ডাইমেনশনের আলোকে একজন শিক্ষার্থী যে যোগ্যতাসমূহ অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে তা সভ্যতা ও সংস্কৃতি, সামাজিক সম্পর্ক, পরিবেশ ও প্রতিবেশ, টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য এসকল ক্ষেত্রে চর্চা করার মাধ্যমে সহযোগিতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা, সংবেদনশীলতা প্রভৃতি মূল্যবোধ ও নৈতিকতা অর্জন করতে পারবে। আর এই সবকিছুর মধ্য দিয়ে যে যোগ্যতা অর্জিত হবে তার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী হয়ে উঠবে জাতীয়তাবোধসম্পন্ন বিশ্বনাগরিক। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের যোগ্যতাসমূহ নির্ধারণ করার জন্য যে চারটি ডাইমেনশন বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে উল্লেখ করা হয়েছে : আত্মপরিচয় ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিজের পরিচয় নির্মাণ করা ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের একটি মূল প্রতিপাদ্য হওয়ায় সকল বিষয়কে সমন্বিতভাবে আয়ত্ত করার জন্য একে একটি ডাইমেনশন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো প্রাকৃতিক সামাজিক বিজ্ঞানের সকল বিষয়েরই কেন্দ্রীয় একটি বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কাঠামোর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করা। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্যতা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে তাই কাঠামোকে একটি ডাইমেনশন হিসেবে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, প্রাকৃতিক কাঠামো বলতে সাধারণত প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান ও ব্যবস্থা যেমন : নদী, সাগর, মহাসাগর, পর্বতমালা, মহাদেশ প্রভৃতিকে বোঝানো হয়ে থাকে। অন্য দিকে, সামাজিক কাঠামো বলতে সাধারণত পরিবার, ধর্ম, রীতিনীতি, সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতিকে বোঝানো হয় । পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল । এই পরিবর্তনশীলতার বস্তুনিষ্ঠ প্যাটার্ন অনুসন্ধান করা সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপাদ্য বিষয়। যে কোন পরিবর্তনের ফলেই কিছু সম্ভাবনা ও ঝুঁকি তৈরি হয়। এই ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে যথাযথ ইতিবাচক ভূমিকা নির্ধারণের যোগ্যতা অর্জন সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এ বিবেচনায় পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা নির্ধারণকে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের যোগ্যতা নির্ধারণের একটি ডাইমেনশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ উন্নয়নের জন্য সম্পদ একটি অপরিহার্য বিষয়। প্রকৃতির সম্পদ সীমিত। প্রকৃতিকে ব্যবহার করে সম্পদের উৎপাদন, বণ্টন, ভোগ ও সংরক্ষণ অর্থাৎ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণকে তাই ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের একটি ডাইমেনশন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ===000=== তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Uncategorized

ধারণায়নঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি (Digital Technology)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী জীবনের সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ, নিরাপদ, নৈতিক, সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জন করে প্রত্যাশিত ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৈরি হওয়া। বিষয়ের ধারণায়ন ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়ের ধারণায়নের সময় এই বিষয়ের ব্যাপ্তি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। বরং বিষয়ের ধারণায়ন এমনভাবে করা হয়েছে যে, শিক্ষার্থী শুধু তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকারীই হবে না বরং সে ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জন করবে, ও তার সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের এবং পারিপার্শ্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য নিজস্ব ডিজিটাল সলিউশন উদ্ভাবন করতে পারবে। এর ফলে আইসিটি সক্ষমতার পাশাপাশি তার মাঝে ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতাও তৈরি হবে যা তাকে দক্ষ ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম রূপরেখায় ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়টির ধারণায়নের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ডিজিটাল সাক্ষরতা, তথ্য সাক্ষরতা যার মূল অনুষঙ্গ। ডিজিটাল সাক্ষরতা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সুসংবদ্ধ চিন্তন দক্ষতা অর্জন করবে যার সাহায্যে তারা নিজস্ব ডিজিটাল সলিউশন সৃষ্টি করতে পারবে। এক্ষেত্রে যে চিন্তনদক্ষতাসমূহকে এই ধারণায়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেগুলো হল : কম্পিউটেশনাল চিন্তন, ডিজাইন চিন্তন ও সিস্টেম চিন্তন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ ও সহযোগিতা, সৃজনশীল উদ্ভাবনের যোগ্যতা অর্জন করবে যা তার আইসিটি সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। দক্ষ ডিজিটাল নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরো যে দুটি বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে হবে তা হল : আইসিটির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার, এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রেক্ষাপট। আইসিটি সক্ষমতা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতা দুইক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীকে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়ের ধারণায়নে উঠে আসা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিতভাবে নিচে আলোকপাত করা হল । ডিজিটাল সাক্ষরতা : বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি নির্ভর সমাজের উপযুক্ত সদস্য হিসেবে জীবনধারণ করতে ডিজিটাল সাক্ষরতা অত্যাবশ্যক। ডিজিটাল সাক্ষরতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ তথ্য সাক্ষরতা, তবে এর পরিধি আরো ব্যাপক। সুক্ষ্ম চিন্তন দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির কার্যকারিতা যাচাই করতে পারা, বিভিন্ন প্রয়োজনে দক্ষতার সঙ্গে উপযুক্ত প্রযুক্তির যথাযথ, সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারা, এবং নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনও ডিজিটাল সাক্ষরতার অংশ। তথ্য সাক্ষরতা সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিতভাবে নিচে আলোকপাত করা হল : তথ্য সাক্ষরতা বলতে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য খুঁজে বের করা, তথ্যের নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা, তথ্য ও তথ্যের উৎসের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করাসহ তথ্য ব্যবস্থাপনার সকল দিককে বোঝায়। তথ্য সাক্ষরতা সকল মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আলোচনা করে, এখনকার সময়ে মিডিয়া লিটারেসি বা মিডিয়া সাক্ষরতা এর অন্যতম অনুষঙ্গ। ডিজিটাল মিডিয়ার বিশাল তথ্যভাণ্ডার এখন মানুষের কাছে উন্মুক্ত, মানুষের পছন্দ, অপছন্দ, মতামতের ওপর স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে এসব ডিজিটাল মিডিয়ার। কাজেই যেকোনো মিডিয়া থেকে তথ্য নেবার আগে উৎস ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিশ্বাসযোগ্যতা ইত্যাদির নির্মোহ বিশ্লেষণ করা জরুরি। একই সঙ্গে দরকার তথ্য ব্যবহার বা শেয়ার করার আগে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও ইস্যুসমূহ বিবেচনা করে দায়িত্বশীল আচরণ চর্চা করা। তাছাড়া ডিজিটাল মিডিয়াকে শুধু তথ্য গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে না নিয়ে নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ারের প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি যেহেতু দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও ব্যবহারিক দক্ষতা ছাড়া তাই তথ্য সাক্ষরতা অর্জন করা কঠিন । অন্য দিকে একবিংশ শতকে প্রযুক্তি ব্যবহারকারী হিসেবে শুধু নয়, বরং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীরা যাতে উদ্ভাবকের ভূমিকা নিতে পারে সেটাও বিবেচ্য। আর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সৃজনশীল চিন্তা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা যাতে কার্যকর ডিজিটাল সলিউশন উদ্ভাবন করতে পারে সেজন্যেও ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যাতে ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জন করতে পারে এবং জীবনব্যাপী এই দক্ষতা যাতে কাজে লাগাতে পারে সেই অনুযায়ী অর্জন উপযোগী যোগ্যতা নির্ধারিত হয়েছে। ডিজিটাল সাক্ষরতা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা যেসব যোগ্যতা অর্জন করবে তাদের নিচের ডাইমেনশনগুলোতে ব্যাখ্যা করা যায় : যোগাযোগ ও সহযোগিতা : তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীকে এখন বলা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ, যেখানে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে যে-কেউ অন্য প্রান্তের কারো সঙ্গে মুহূর্তেই যোগাযোগ করতে পারে। ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়াও সমস্যা সমাধানের জন্য হোক বা অন্য যেকোনো সৃজনশীল কাজের জন্য হোক প্রযুক্তিনির্ভর এই পৃথিবীতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যোগাযোগের সক্ষমতা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এক সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন। এই ক্ষেত্রে শুধু আইসিটি ব্যবহারের দক্ষতাই যথেষ্ট নয়, বরং নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট টার্গেট গ্রুপের জন্য উপযুক্ত যোগাযোগের মাধ্যম নির্ধারণ করে যোগাযোগের দক্ষতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ । সমস্যা সমাধান : ব্যক্তিগত বা সামষ্টিক প্রয়োজনে বা কোনো সমস্যা সমাধানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ ও সৃজনশীল ব্যবহার করতে পারার সক্ষমতা অর্জন করার উপরে এই রূপরেখায় বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে । শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, বরং যেকোনো সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সবগুলো ধাপে যথাযথভাবে উপযুক্ত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিক্ষার্থীদের সক্ষম করে তোলার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন : সমস্যা সমাধানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সৃজনশীল ব্যবহারই শুধু নয়, বরং নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগ করে ডিজিটাল সমাধান সৃষ্টি এই ধরনের যোগ্যতার অন্তর্গত। কম্পিউটেশনাল চিন্তন : ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জনের জন্য মূল যেই দক্ষতাগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হল কম্পিউটেশনাল চিন্তন। এটি মূলত সমস্যা সমাধানের একটি সুসংবদ্ধ গাণিতিক চিন্তন প্রক্রিয়া, যার মধ্যে রয়েছে জটিল সমস্যাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে আলাদা করা, তথ্য উপাত্ত যৌক্তিকভাবে সাজানো, সমস্যা সমাধানের ধাপগুলোকে ধারাবাহিকভাবে ক্রম অনুযায়ী বিন্যস্ত করা, প্যাটার্ন খুঁজে বের করা ইত্যাদি। ডিজাইন চিন্তন : ডিজাইন চিন্তন ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ডিজাইন চিন্তন বলতে মূলত বোঝায় কোন সমস্যার সৃজনশীল, অভিনব ও কার্যকরী সমাধান উদ্ভাবন এবং তা যৌক্তিক মানদণ্ডের বিচারে যাচাই-বাছাই করার সুবিন্যস্ত প্রক্রিয়া । সিস্টেম চিন্তন : সিস্টেম চিন্তন বলতে মূলত বোঝায় কোনো সুনির্দিষ্ট সমস্যা ও তার প্রস্তাবিত সমাধান, সংশ্লিষ্ট সিস্টেমের প্রকৃতি এবং পারিপার্শ্বিক সামাজিক প্রেক্ষাপটের আন্তঃসম্পর্ক উদ্ঘাটনের জন্য একটা সমন্বিত প্রয়াস । ডিজিটাল সিস্টেম কীভাবে কাজ করে, এর বিভিন্ন উপাদান ও তাদের মিথস্ক্রিয়া কীভাবে গোটা সিস্টেমকে প্রভাবিত করে, এবং ডিজিটাল সিস্টেমসমূহের পরিবর্তন সমাজ, অর্থনীতির উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে সেসবও এখানে বিবেচ্য বিষয়। উপরে উল্লেখিত ডাইমেনশনগুলোতে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে যে দুটি বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠতে হবে তা হল : আইসিটির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট । আইসিটির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার : তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে যোগাযোগ অভাবনীয় সহজ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু উল্টো দিকে সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন ঝুঁকি । এসব ঝুঁকি সম্পর্কে জানাই শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট নয়, বরং এই ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহারের দক্ষতা থ াকাও জরুরি। মেধাস্বত্ব রক্ষার নৈতিক ও আইনি কাঠামো, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ ও সামাজিক কাঠামোতে এর নানা প্রভাব সম্পর্কিত আইন ও নৈতিক কাঠামো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা তাই দরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন ব্যক্তিগত পরিচয়, গোপনীয়তা এবং অনুভূতি, রীতি-নীতি

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃ বিজ্ঞান (Science)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী প্রকৃতি ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে কৌতুহলী হয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে এর রহস্য উদ্ঘাটন করা ও এর অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য উপলব্ধি করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন করা এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক কল্যাণে ইতিবাচক অবদান রাখা । বিষয়ের ধারণায়ন বিজ্ঞান সমাজ বা প্রকৃতির বাইরে কোন পৃথক বিষয় নয়, বরং প্রকৃতির ঘটনাবলিকে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করা বিজ্ঞান শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। কাজেই এই রূপরেখায় বিজ্ঞান শিক্ষাকে শুধু তত্ত্ব ও তথ্য এবং পরীক্ষাগারে নির্ধারিত কিছু পরীক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি বরং বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা অর্জনের উপর জোর দেয়া হয়েছে— যা শিক্ষার্থীর মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিজ্ঞানভিত্তিক জীবনাচরণের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। শিক্ষাক্রমের বিষয় হিসেবে বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য, গুরুত্ব এবং সংশ্লিষ্ট শিখন-ক্ষেত্রসমূহ বিবেচনায় নিম্নলিখিতভাবে এর ধারণায়ন করা হয়েছে- বিজ্ঞান অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালায়। এই বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্কেল, অনুপাত ও পরিমাণের ধারণার প্রয়োজন পড়ে। কোন সিস্টেমে ঘটে চলা ঘটনাবলি ব্যাখ্যা করার জন্য ওই সিস্টেমকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়, বিবেচনায় নিতে হয় সিস্টেম ও এর উপাদানসমূহের গঠন ও আচরণ, তাদের স্থিতি ও পরিবর্তন, এবং সিস্টেমের ভেতরে চলতে থ াকা বস্তু ও শক্তির মিথস্ক্রিয়া। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত প্রমাণনির্ভর তথ্যের ভিত্তিতে এসব ঘটনার প্যাটার্ন ও কার্যকারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত জ্ঞান বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটা সময় বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সময়ের সঙ্গে উদ্ঘাটিত বৈজ্ঞানিক তথ্য, তত্ত্বের সমন্বয়ে বয়ে চলা বিজ্ঞানের মূল স্রোত থেকে ক্রমান্বয়ে তিনটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র উন্মোচিত হয় : ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং পৃথিবী ও মহাকাশবিজ্ঞান । এই তিনটি বিশেষায়িত ক্ষেত্রের বাইরেও আরেকটি আলোচনার ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তা হল বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সমাজ। বিজ্ঞানের তথ্য দিয়ে ভারাক্রান্ত করে নয়, বরং অনুসন্ধানমূলক শিখনের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের দর্শন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ইত্যাদির উপর সম্যক ধারণা নিয়ে শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানভিত্তিক জীবনাচরণে অভ্যস্ত করে তোলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। এর ফলে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে তারা দৈনন্দিন জীবনে বৈজ্ঞানিক দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে পারবে ও বিজ্ঞানলব্ধ সামাজিক (Socio-scientific) মূল্যবোধ ধারণ করে ব্যক্তিগত ও সামগ্রিক ক্ষেত্রে দায়িত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল আচরণ করবে । বিজ্ঞান বিষয়ের ধারণায়নে উঠে আসা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিতভাবে নিচে আলোকপাত করা হল । বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান : প্রতিটি ব্যক্তি জন্মগতভাবে অনসুন্ধানী মন নিয়ে জন্ম নেয়। সমাজ এবং প্রকৃতির বিভিন্ন বস্তু এবং ঘটনা তাঁর কৌতুহলী মনকে আরো বেশি নাড়া দেয়। সে জানতে চায় এর কারণ কী? এর পেছনের ঘটনা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যে পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয় তা হল বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান । বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান হল কিছু কৌশলের সমন্বয়ে একটি সুসংহত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করা হয়। এ পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হলে শিক্ষার্থীকে একটি যৌক্তিক, নিয়মতান্ত্রিক ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় যা তাঁকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলে । সঠিকভাবে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য কিছু বৈজ্ঞানিক দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আয়ত্ত করা প্রয়োজন : বৈজ্ঞানিক দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন হয় একটি কৌতুহলী মনের যা প্রতিটি শিশুর মধ্যে বিদ্যমান। পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পদ্ধতি আয়ত্ত করার জন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে কিছু প্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা থাকা অত্যাবশ্যক, যা তাঁর অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে আরো বেশি শাণিত করে। আর এ দক্ষতাগুলোকেই বৈজ্ঞানিক দক্ষতা হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে । যেহেতু বিজ্ঞানের তত্ত্ব ও তথ্যসমূহ শুধুমাত্র প্রমাণের ভিত্তিতেই গৃহীত হতে হয়, কাজেই নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার মত কিছু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করাও সঠিকভাবে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পরিচালনার পূর্বশর্ত। স্কেল, অনুপাত ও পরিমাণ : যেকেনো বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে মাইক্রো বা ম্যাক্রো স্কেলের শর্তাবলি বিবেচনা করা জরুরি, কারণ অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় কী কী বিষয় প্রাসঙ্গিক তা অনেক সময় এই শর্তাবলির সাপেক্ষে ভিন্ন হতে পারে। অন্য দিকে, এই অনুসন্ধান পরিচালনা করতে বিভিন্ন পরিমাণ সম্পর্কে জ্ঞান, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ধরনের পরিমাণ পরিমাপ করার দক্ষতা প্রয়োজন পড়ে। আবার এই স্কেল, অনুপাত ও পরিমাণের ভিন্নতা প্রকৃতির বস্তু বা ঘটনার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তাও বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয়। তাই বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য এবং বিজ্ঞানের তত্ত্ব ও ধারণাসমূহ অনুধাবন করার জন্য স্কেল, অনুপাত ও পরিমাণের ধারণা থাকা প্রয়োজন । সিস্টেম : শিক্ষার্থী তাঁর অনুসন্ধানী চোখে দেখতে পায় তাঁর চারপাশ থেকে শুরু করে ক্ষুদ্রাকার অণু পরমাণু এবং বৃহদাকার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সবকিছুই এক একটি সিস্টেম, প্রতিটি বৃহৎ সিস্টেম আবার অসংখ্য সাবসিস্টেমের সমষ্টি। যেকোনো সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ সজীব এবং অজীব বস্তুসমূহের গঠন ও আচরণ, এর মধ্যকার বস্তু ও শক্তির মিথষ্ক্রিয়া, সিস্টেম ও এর উপাদানসমূহের স্থিতি ও পরিবর্তন ইত্যাদির প্যাটার্ন ও কার্যকারণ সম্পর্ক খুঁজে বের করাই বিজ্ঞানের কাজ। ■ গঠন ও আচরণ : প্রকৃতির সজীব ও অজীব বস্তুসমূহের গঠন বিশ্লেষণ, এবং তার ভিত্তিতে তাদের আচরণ ও কার্যাবলি পর্যালোচনা। বস্তু ও শক্তির মিথস্ক্রিয়া : কোন সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ বস্তু ও শক্তির পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া এবং তা কীভাবে সিস্টেমকে প্রভাবিত করে তার অনুসন্ধান । ■ স্থিতি ও পরিবর্তন : প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম সিস্টেমের স্থিতাবস্থায় থাকার শর্তাবলি এবং এর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন বা বিবর্তনের অনুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ । প্যাটার্ন : প্যাটার্ন হচ্ছে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কোন বিষয় বা প্রাকৃতিক ঘটনার বার বার পুনরাবৃত্তি। প্রকৃ তির বস্তু ও ঘটনাবলির প্যাটার্ন তাদের ধরন অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসন্ধানের মাধ্যমে এসব ঘটনার পারস্পরিক সম্পর্ক উদ্ঘাটন করা যায়। কার্যকারণ সম্পর্ক : যেকোনো প্রাকৃতিক ঘটনার পেছনের কার্যকারণ সম্পর্ক খুঁজে বের করা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রকৃতিতে কোন ঘটনা কেন ঘটে, কী ধরনের মিথস্ক্রিয়া এর পেছনে কাজ করে তার পরীক্ষালব্ধ ব্যাখ্যা বিশ্বপ্রকৃতি কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ঘটনাবলি ব্যখ্যা করতে গিয়ে ক্রমান্বয়ে তিনটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়। এর মধ্যে – অগ্রযাত্রায় বিজ্ঞানের নানাবিধ প্রয়োগ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার প্রভাব – এখানে মুখ্য আলোচ্য বিষয়। উপর্যুক্ত আলোচনার ক্ষেত্রগুলো ঘিরে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষাক্রম আবর্তিত হবে। অনুসন্ধানমূলক শিখনের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা গড়ে তোলা এই শিক্ষাক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি অন্যতম উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানলব্ধ সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা । বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা : একটি বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতাসম্পন্ন সমাজ গড়ে তোলা বিজ্ঞান শিক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্য । এই শিক্ষাক্রমে তাই অনুসন্ধানমূলক শিখনের উপর জোর দেয়া হয়েছে, যাতে বিজ্ঞান শিক্ষা শুধু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব জানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অনুসন্ধিৎসা, প্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে। ফলাফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি হবে এবং প্রাত্যহিক জীবনে, কিংবা যেকেনো সমস্যা সমাধানে বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার প্রভাব পড়বে। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে এই চর্চা শিক্ষার্থীর মাঝে ধীরে ধীরে বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতার একটি

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃ গণিত (Mathematics)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী সংখ্যা, গণনা, জ্যামিতি, পরিমাপ ও তথ্য বিশ্লেষণের ধারণা আয়ত্তীকরণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত, সামাজিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক সমস্যার দ্রুত মূল্যায়ন করে কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার সমাধান ও ভবিষ্যত সমস্যা সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণ করতে পারা। এছাড়া গাণিতিক দক্ষতা ব্যবহার করে যৌক্তিক ও কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে পারা এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতা প্রদর্শন ও প্রয়োগ করতে পারা। বিষয়ের ধারণায় গণিত এমন একটি চিন্তন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিমূর্ত ধারণাকে যৌক্তিকভাবে সম্পর্কযুক্ত করা হয়। তাই গণিতের মূল ভিত্তি যুক্তি ও সৃজনশীলতা। জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যা থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক হিসাব নিকাশ পর্যন্ত গণিতের বিস্তৃতি দৃশ্যমান । শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রণয়নের ক্ষেত্রে শুধু কিছু সূত্র মুখস্থ করে তার সাহায্যে পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক সমস্যা সমাধান নয় বরং গণিতের প্রকৃতি, যৌক্তিক চিন্তন, বাস্তব জীবনে এগুলোর প্রয়োগ ইত্যাদির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেজন্য এই বিষয়ের ধারণায়নের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে গাণিতিক অনুসন্ধান, যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা গাণিতিক দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা অর্জন করবে। গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য চারটি ডাইমেনশন নির্ধারণ করা হয়েছে, যেগুলো হল : সংখ্যা ও পরিমাণ, গাণিতিক সম্পর্ক, আকৃতি এবং সম্ভাব্যতা। এই চারটি ডাইমেনশনে গাণিতিক অনুসন্ধান চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে যোগ্যতাসমূহ অর্জন করবে তা সে তার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবে। এসকল প্রয়োগক্ষেত্রকে চারটি মূল ভাগে ভাগ করা হয়েছে; যেমন : দৈনন্দিন জীবনে, সমাজ জীবনে, কর্মজ্ঞাতে এবং গণিতের উচ্চতর শিখন ও গবেষণাসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। গণিত বিষয়ের ধারণায়নে উঠে আসা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিতভাবে নিচে আলোকপাত করা হল । গাণিতিক অনুসন্ধান গণিত বিষয়ের একটি মূল লক্ষ্য হলো গাণিতিক সাক্ষরতা- যা বাস্তব জীবনের কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য কীভাবে সমস্যাকে পরিকল্পনা করতে হয় এবং এর একটি গাণিতিক রূপ দিয়ে তা ব্যাখ্যা ও সমাধান করা যায় সে ধরনের সক্ষমতা প্রদান করে। আর সমস্যা সমাধানের এই সুসংবদ্ধ প্রক্রিয়াকে বলা হয় গাণিতিক অনুসন্ধান । গণিত হচ্ছে যথার্থভাবে সংজ্ঞায়িত বস্তু এবং ধারণা সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে গাণিতিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে বস্তু বা ধারণার ব্যাখ্যা ও রূপান্তরের মাধ্যমে একটি নিশ্চিত উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয় । বস্তুনিষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্যভাবে যুক্তি উপস্থাপন একটি দক্ষতা। প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ এ দক্ষতাটির চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাণিতিক যুক্তি প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীরা তাদের বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে এমন একটি ফলাফলে উপনীত হয় যেটিকে তারা পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে সঠিক বলে মনে করে। গাণিতিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গাণিতিক যুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যে উপসংহারে পৌঁছানো যায় তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ হয় এবং বাস্তব বা বিমূর্ত যেকোনো গাণিতিক সমস্যা সমাধানে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এজন্য এই রূপরেখায় গাণিতিক অনুসন্ধানকে ধারণায়নের মডেলের কেন্দ্রে অবস্থান দেওয়া হয়েছে। গাণিতিক অনুসন্ধানের আলোকে যে বিষয়গুলো উপলব্ধি করা যায় সেগুলো হলো : এবার আমরা গাণিতিক অনুসন্ধানের উপলব্ধিগুলোকে যদি বিশ্লেষণ করি তা হলে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে : ১. তাত্ত্বিক দিক : যার মধ্যে রয়েছে, সংখ্যা ও পরিমাণ, গাণিতিক সম্পর্ক, আকৃতি ও সম্ভাব্যতা। ২. ব্যবহারিক দিক : যার মধ্যে রয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, দৈনন্দিন জীবন, কর্মজগৎ ও সমাজ। একজন শিক্ষার্থী গাণিতিক অনুসন্ধান করতে গিয়ে যে চারটি ডাইমেনশন বা ক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে বিকশিত হবে তার একটি বর্ণনা নিচে তুলে ধরা হলো : সংখ্যা একটি বিমূর্ত ধারণা। সংখ্যার সঙ্গে যখন পরিমাণ যুক্ত হয় তখন সংখ্যা বোধ তৈরি হয় । পরিমাণের ধারণা ছাড়া সংখ্যা ব্যাখ্যা সহজ নয় । আমরা যদি মহাবিশ্বের দিকে তাকাই তা হলে দেখতে পাই, মহাবিশ্ব হচ্ছে গ্যালাক্সি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অসংখ্য অণু পরমাণুর মহাসাগর যেখানে বস্তুসমূহের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ঘটনা। মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা এবং প্রতিটি সত্তার পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া এবং তার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সংখ্যা ও পরিমাণের ধারণা; অর্থাৎ সংখ্যা-বোধ হচ্ছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় গাণিতিক দিক, যা শিক্ষার্থীকে এই বিশাল জগতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এর সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে মহাবিশ্বের নানা বস্তুকণার বৈশিষ্ট্য, সম্পর্ক ও অবস্থানকে সংখ্যার আলোকে প্রকাশ করা এবং পরিমাণের আলোকেই এ প্রকাশকে দেখার চেষ্টা করা। পরিমাণের এ ধারণা থেকে আমরা পরিমাপ, গণনা, বিস্তার, একক, নির্দেশক, আকৃতি, ক্রমিক সংখ্যার প্রবণতা ও প্যাটার্ন উপলব্ধি করি। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ প্রকৃতির এই ঐক্য ও শৃঙ্খলাকে বুঝতে চেষ্টা করেছে, এবং বহু প্রজন্মের চিন্তন, চর্চা, ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বিশ্বজাতের নিয়ম কানুনকে ব্যাখ্যা করার পথে ধীরে ধীরে এগোনোর চেষ্টা করেছে। পৃথিবীর বিশালত্ব পরিমাপ এবং বর্ণনা করার জন্য তাকে সংখ্যায় প্রকাশ করা একটি প্রাথমিক প্ৰক্ৰিয়া । যা কোনো একটি অবস্থার মডেলিং, পরিবর্তন ও সম্পর্ক পরীক্ষণ, আকার আকৃতি এবং তথ্য সংগঠন ও অনিশ্চয়তা পরিমাপ করার অনুমতি প্রদান করে। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম জগতের বস্তু এবং পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে বহু ধরনের স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পর্ক দেখা যায়। যেখানে একটি সিস্টেমের ভেতর ঘটে চলা বস্তুসমূহের পরিবর্তন অথবা পারিপার্শ্বিকতায় একটি উপাদান আর একটি উপাদানকে কীভাবে প্রভাবিত করছে তা দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এ পরিবর্তন দীর্ঘ কিংবা অল্প সময়ব্যাপী সংঘটিত হয়। আবার অন্য ক্ষেত্রে একটি বস্তু বা পরিমাণ অন্যটির পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয় আলাদা আলাদা আবার কখনো কখনো তা নিরবিচ্ছিন্নভাবে হয়ে থাকে। এই সম্পর্কগুলো কখনো কখনো প্রকৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী এবং অপরিবর্তনীয় । গাণিতিক মডেলের আলোকে এ পরিবর্তন পূর্বানুমান ও ব্যাখ্যা করা যায়। অর্থাৎ গাণিতিকভাবে পরিবর্তন এবং সম্পর্ককে যথ াযথ ফাংশন এবং সমীকরণের সাহায্যে মডেলিং করা যায়। এই মডেলই বাস্তব জীবনের কোনো ঘটনাকে প্রতীক বা গ্রাফের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে । আমরা আমাদের দৃশ্যমান জগতে প্রতিনিয়ত আকার আকৃতি সম্পর্কিত প্রপঞ্চের (phenomena) সম্মুখীন হই যেমন; জ্যামিতিক প্যাটার্ন, বস্তুর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, অবস্থান এবং ওরিয়েন্টেশন, বস্তুর উপস্থাপন, দৃশ্যমান তথ্যের কোডিং এবং ডিকোডিং, বাস্তব আকৃতির সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়া ইত্যাদি। জ্যামিতিক ধারণা আকার আকৃতির ব্যাখ্যায় ভিত তৈরি করলেও পরিমাপ এবং বীজগণিতের ধারণায়নেও জ্যামিতির ভূমিকা রয়েছে। আমরা সচরাচর যে ধরনের আকৃতি দেখতে পাই তা প্রতিসম (symmetrical) নয়। তাই জ্যামিতির সহজ সূত্রের সাহায্যে এ ধরনের অনিয়মিত আকৃতি পরিমাপ করা জটিল । কাজেই আকৃতির পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি কাছাকাছি ফলাফলের উপরই নির্ভর করতে হয়। এক্ষেত্রে যতটা ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব তা করা হয়ে থাকে । বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রাত্যহিক জীবন বা সমাজে সম্ভাব্যতা বা অনিশ্চয়তাকে উপেক্ষা করা যায় না। তাই সম্ভাব্যতা বা অনিশ্চয়তা গাণিতিক ব্যাখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে, সম্ভাব্যতা যাচাই, তথ্য উপস্থাপন এ সব ক্ষেত্রই অনিশ্চয়তার ঘটনা একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ধারণ, নির্বাচনী মতামত, জনসংখ্যার প্রবণতা ইত্যাদি উপস্থাপনে গ্রাফ ও পরিসংখ্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান জুড়ে আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রই একটি সম্ভাব্য ফলাফলের উপর আলোকপাত করে। ডাটা সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্যতা উপস্থাপন করাই এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ । উল্লেখিত চারটি ডাইমেনশনের আলোকে অর্জিত গাণিতিক সাক্ষরতা একজন শিক্ষার্থী প্রেক্ষাপটভেদে সমস্যা সমাধানে প্রয়োগ করতে পারছে কিনা এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিচে এই প্রয়োগের চারটি প্রধান ক্ষেত্ৰ তুলে ধরা হলো : গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর শিখন ও গবেষণাসহ

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃEnglish

To be able to communicate effectively using basic skills of English language for day to day purposes, academic purpose and other specific purposes; to be able to exert creative as well as critical insights to express aesthetically, and to appreciate English literary text; to be able to uphold democratic practice in communication at the individual, social, national and global contexts. Conceptualisation Since English is viewed as a foreign language in Bangladesh, the K-12 curriculum of English needs to maintain a balance of focus between real life application and a good understanding of the contexts in which the language learners are going to use English. This diagram illustrates how English as a subject is conceptualised in this curriculum framework. The centre of the diagram contains the core knowledge and skills required for a learner. In terms of knowledge, it covers linguistics rules along with their use relevant for the local and global contexts. One key skill, interpretability, taps learners’ ability to interpret and understand literal as well as intended meaning of a given verbal or non-verbal text. Another skill is clarity of expression, and it demands the leamers’ ability to express clearly, concisely, distinctively, and appropriately in effective communication. However, effective communication does not rely only on any particular knowledge and sets of skills, rather it requires contextual understanding and cultural awareness along with a democratic attitude. These three aforesaid components form a mediating lens which leads to the idea of Intercultural Communicative Competence (ICC). A context sensitive cultural awareness in communication denotes an empathetic attitude, and ensures admiration and appreciation to diverse practice in communication. Consequently, a democratic attitude on part of the language users becomes mandatory as it facilitates a mindset to acknowledge different opinions in communication and the varied ways of expression, as well as the readiness to articulate personal viewpoints. In terms of English teaching-learning, as a second or foreign language, the prevalent ideas of communicative competence has been questioned in relation to the notion of sociolinguistic competence. The idea of sociolinguistic competence to an extent celebrates the cultural norms and practice embedded in English speaking society. As a matter of fact, language is not a value-free media, rather it carries a particular culture which can create a social hierarchy in relation to English and non-English speaking contexts. In accordance with the presentation of the language itself and the culture associated, it is essential for learners from a non-English speaking context to have a critical insight when learning to communicate in that particular language. That leads to the concept of ICC and it acts like a mediating lens to regulate learner’s interpretation and expression following the linguistic norms, and equip them to practice English in preferred manner. Through ICC, the core knowledge and skills are mediated for the applications in three major areas which are – real life application, sense of identity, and creative expression. Real life application covers the practice of English in everyday communication, for academic purpose, as well as for other specific purposes. As language is a media to exchange thoughts and emotion, learners need to internalise aesthetic value for creative expression as well as to appreciate the beauty of literature. Additionally, being recognized as an international language, English enables learners to access and appreciate arts and literature from different contexts and culture across the world. Apart from real life application and creative expression, another field of application is unveiled with the language users’ capability to demonstrate a sense of identity in their practice. Learners’ sense of identity equips them with the ability to recognise and evaluate the linguistic norms with regard to the power relation in a particular cultural context; and therefore, empowers them with the ability to prefer appropriate norms over others in accordance with the context. Consequently, it enables the learners to minimise the discriminatory aspects of linguistic practice and promote democratic practice in communication. It is worthwhile to mention that, existing English curriculum at the primary and secondary levels promotes some of the aspects mentioned above. However, since that curriculum was not competency based, rather mostly focused on contents, this is presumably difficult for both the teachers and learners to relate the activities with the notion those were meant for. On that account, this framework attempts to connect the dots and incorporate an integrated approach in order to decipher the curricular competencies into meaningful classroom activities. This approach aligns it with the recent global trends in ELT with reference to EFL pedagogical context; and thereby, the tenets of critical and post-method pedagogy are contemplated and their implications are embedded in this curriculum framework. ===000=== তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃ বাংলা (Bangla)

পটভূমি অন্যান্য বিষয় শেখার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হবে একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয় শিখনের মাধ্যমেও বাংলা ভাষার ভিত্তি দৃঢ় হবে। বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী প্রমিত বাংলা ভাষায় ভাব আদান-প্রদানের (শোনা, বলা, পড়া, লেখা, দেখা ও অনুভব করার) মৌলিক দক্ষতা অর্জন করতে পারা; বাংলা ভাষার মৌলিক দক্ষতা ব্যবহার করে শিখনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্ঞান অন্বেষণে সমর্থ হওয়া । সাহিত্যপাঠে আনন্দ লাভ করতে পারা; বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে বিভিন্ন মাধ্যমে সৃজনশীল ও শৈল্পিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারা এবং পরমতসহিষ্ণুতার সঙ্গে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কার্যকর ও কল্যাণমুখী যোগাযোগে সমর্থ হওয়া। বিষয়ের ধারণায়ন ভাষা সকল ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম, একই সঙ্গে জ্ঞান ও চিন্তার বাহন। শিক্ষাতাত্ত্বিক দিক থেকে ভাষা শিখন-প্রক্রিয়া ও শিখন-শেখানো কার্যক্রমের প্রধান ভিত্তি। শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১-এ বাংলা বিষয়কে প্রধানত ভাষা ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে অন্যান্য বিষয় শিখনের মাধ্যম হিসেবেও বিবেচনা করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী পরিবেশ, পরিস্থিতি ও পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী যোগাযোগে পারদর্শী হয়ে উঠবে। রূপরেখায় ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা অর্জনে ভাব গ্রহণ ও প্রকাশে শোনা, বলা, পড়া ও লেখার পাশাপাশি দেখা ও অনুভবকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। রূপরেখায় শিক্ষার্থীর ভাষাবোধ ও ভাষাপ্রয়োগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভাষাবোধ গড়ে ওঠে প্রধানত ইন্দ্রিয় সংবেদনা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিত এবং ভাষা-সংগঠন বা ব্যাকরণ প্রভৃতির আন্তঃসম্পর্কসূত্রে। ভাষাবোধের দৃঢ় ভিত্তির ওপর নির্ভর করে ভাষার যথাযথ, শুদ্ধ ও পরিশীলিত প্রয়োগ অর্থাৎ ভাষা এক দিকে গ্রহণমূলক, অন্য দিকে প্রকাশমূলক । দেখা, শোনা, অনুভব, পড়া প্রভৃতির মাধ্যমে ভাষাভাষীর মধ্যে গড়ে ওঠে গ্রহণমূলক পারদর্শিতা। সেই সঙ্গে বলা, লেখা, ইশারা, স্পর্শ, সক্রিয় শ্রবণ প্রভৃতির মাধ্যমে গড়ে ওঠে ভাষার প্রকাশমূলক পারদর্শিতা। শিক্ষাক্রম রূপরেখায় বিকল্প গ্রহণ ও বিকল্প প্রকাশকেও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। কেননা সকল শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা ও আবেগিক বুদ্ধিবৃত্তিতে (emotional intelligence) বৈচিত্র্য রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনুভব, স্পর্শ, ঘ্রাণ, পর্যবেক্ষণ প্রভৃতির মাধ্যমে বিচিত্রভাবে বাস্তব বিশ্বকে অনুভব ও অনুধাবন করে থাকে; এ কারণে তাদের প্রকাশও হয়ে থাকে ভিন্ন মাধ্যম ও প্রক্রিয়ায়। ভাষা ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষার ৬টি প্রধান প্রয়োগ-ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে : ১ . ভাষিক যোগাযোগ; ২. বাচনিক উৎকর্ষঃ ৩. শিখন-শেখানো কার্যক্রম: ৪. প্রায়োগিক ও পেশাগত যোগাযোগ; ৫. মানবিক চিন্তন ৬. সৃষ্টিশীল ও মননশীল প্রকাশ। ভাষিক যোগাযোগ বলতে বুঝানো হয়েছে বাচনিক ও অ-বাচনিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ার যোগাযোগ ও সংজ্ঞাপনকে । শিক্ষার্থীর বলার ধারাক্রমিক দক্ষতা বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বাচনিক উৎকর্ষ হিসেবে। প্রায়োগিক ও পেশাগত যোগাযোগ বলতে বোঝানো হয়েছে ব্যবহারিক ও পেশাগত জীবনে বাংলা ভাষার যথাযথ প্রয়োগকে; মূলত বিভিন্ন পরিসর এবং পেশাগত জীবনে বাংলা ভাষা প্রয়োগের প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরি করে দেবে বাংলা বিষয়। বাংলা ভাষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ-ক্ষেত্র হয়ে উঠবে শিখন-শেখানো কার্যক্রম; সকল বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জিত হবার প্রধান মাধ্যম বাংলা ভাষা। তাই বাংলা ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি অন্যান্য বিষয়ের জ্ঞান-অর্জন দক্ষতাকে বৃদ্ধি করবে, শিখন-শেখানো কার্যক্রম হয়ে উঠবে সহজতর ও সহজবোধ্য। বর্তমান শিক্ষাক্রমে বাংলাকে বিবেচনা করা হয়েছে শিক্ষার্থীর মানবিক চিন্তন দক্ষতার প্রয়োগ ও বৃদ্ধির ভাষা হিসেবে। রূপরেখায় চিন্তাকে দেখা হয়েছে মানবিক, যৌক্তিক, সহনশীল ও ইতিবাচকভাবে। চিন্তন-দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাষাশৈলিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যেমন : বর্ণনামূলক, তথ্যমূলক, বিশ্লেষণাত্মক ইত্যাদি। সৃষ্টিশীল ও মননশীল প্রকাশ বলতে বোঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীর সৃজন ও যুক্তিশীল কর্মকাণ্ডকে; এই প্রকাশ হতে পারে লিখন, বাচন, অংকন, সৃজন, সংজ্ঞাপননির্ভর। সামগ্রিকভাবে বাংলা বিষয় হয়ে উঠবে যোগাযোগ, সংজ্ঞাপন, শিখন-শেখানো কার্যক্রম, চিন্তন ও প্রকাশের প্রধান ভাষা মাধ্যম । ===000=== তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Uncategorized

বিষয়ের ধারণায়নঃশিল্প ও সংস্কৃতি (Arts and Culture)

প্রাকৃতিক ও সামাজিক বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক অবলোকন, অনুভব করে প্রতিলিপি বা প্রতিরূপ তৈরি এবং পারস্পরিক রূপান্তরের মাধ্যমে শিল্পকলার অন্তর্গত দৃশ্যকলা ও উপস্থাপনকলার বিভিন্ন সৃজনশীল ধারা (চারু ও কারুকলা, নৃত্য, সংগীত, যন্ত্রসংগীত, আবৃত্তি, অভিনয়, সাহিত্য, ইত্যাদি) ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে আনন্দ উপলব্ধি করতে পারা এবং সেসবের চর্চায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারা; সংবেদনশীলতা ও নান্দনিকতার বিকাশ সাধন করতে পারা; নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন এবং অন্য সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে পারা, শিল্পকলাকে উপজীব্য করে উচ্চতর শিক্ষা বা আত্মনির্ভরশীল হতে শিল্পকলার যেকোনো ধারাকে বিবেচনা করতে পারা। বিষয়ের ধারণায়ন নিজস্ব জাতিসত্তার ঐতিহ্যবাহী রূপকে নান্দনিকভাবে বিশ্বজনীন করে তোলার জন্য শিল্প ও সংস্কৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেক জাতি শিল্প ও সংস্কৃতি নির্ভর শিক্ষার মধ্য দিয়ে নিজেদের ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে পৃথিবীব্যাপী তুলে ধরেছে। এবং সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেদের শিল্পবোধ ও নান্দনিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নান্দনিক বোধসম্পন্ন আত্মনির্ভরশীল নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিল্প ও সংস্কৃতি যথাযথভাবে অনুধাবন ও উপলব্ধি করার গুরুত্ব অপরিসীম। শিল্পের ভাষা পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা। গুহাযুগ থেকে পৃথিবীর সকল সভ্যতার পথ ধরে বর্তমান সময় পর্যন্ত শিল্প ও সংস্কৃতি মানুষের জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ অংশ। রেনেসাঁর সময় শিল্প ও সংস্কৃতিনির্ভর জীবনদর্শন ইউরোপকে দিয়েছিল এক অনন্য উঁচুমাত্রা। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেশীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহারে নান্দনিকবোধসম্পন্ন আত্মনির্ভরশীল নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতেও শিল্প ও সংস্কৃতির গুরুত্ব অপরিসীম। যে জাতি নিজের সংস্কৃতিকে ভালোবাসে সে অন্যের সংস্কৃতিকেও সম্মান করে। শিল্প ও সংস্কৃতি শিক্ষার মধ্য দিয়ে সংবেদনশীল, মানবিক গুণাবলি ও পরমতসহিষ্ণু নতুন প্রজন্ম তৈরির সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে সৃজনীগুণসম্পন্ন আত্মনির্ভরশীল রূপে গড়ে তোলাকে শিক্ষাক্রম রূপরেখায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের কাছে আনন্দময় করার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মাধ্যমে তাদের নান্দনিক ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন করে গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো শিল্প ও সংস্কৃতি। শিল্প ও সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে শিশুদের সৃজনশীল চিন্তার সঠিক বিকাশও মূল্যায়ন করা যায় । এই শিক্ষাক্রম রূপরেখায় শিল্প ও সংস্কৃতিকে শিখন-ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করার উদ্দেশ্য হলো শিল্পকে উপজীব্য করে শিশুদের সঠিক মনোবিকাশে সহায়তা করা । শিল্প ও সংস্কৃতি শিখন-ক্ষেত্রটিকে এমন একটি সমন্বিত বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন সৃজনশীল ধারা (চারু ও কারুকলা, নৃত্য, সংগীত, যন্ত্রসংগীত, আবৃত্তি, অভিনয় ও সাহিত্য) চর্চার সুযোগ রয়েছে । এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী একজন নান্দনিক, রুচিশীল ও শিল্পবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এবং জীবন যাপন করতে পারবে। শিক্ষার্থীর ইচ্ছা ও প্রয়োজনবোধে সৃজনশীল সক্ষমতাকে উচ্চতর শিক্ষা, কর্মজগৎ বা আত্মনির্ভরশীল হতে বিবেচনা করারও সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন শ্রেণি এবং জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে শিল্প ও সংস্কৃতিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সূত্রে তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরিতেও শিল্পবোধকে কাজে লাগানোর চিন্তা করা হয়েছে। এজন্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়টিতে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত সৃজনশীলতার ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখা হয়েছে যেখানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরকেই শিল্প ও সংস্কৃতির মূলভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই শিক্ষাক্রম রূপরেখায় শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রকে নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ না করে প্রকৃতি, পরিবেশ, সমাজ ও সংস্কৃতি-নির্ভর করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে লোকজ, প্রাকৃতিক উপাদান ও উপকরণ ব্যবহার করে শিশুদের শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। শিশুদের কল্পনাপ্রবণ, অনুসন্ধিৎসু মনোজগতকে প্রাধান্য দিয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে উদার, সংবেদনশীল, নান্দনিকবোধ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রকৃতি পাঠ, শিল্প ও সংস্কৃতি-নির্ভর শিক্ষাপদ্ধতি এবং তার সঙ্গে সমসাময়িক বিশ্বের সৃজনশীল শিক্ষার মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে সামনে রেখেই এই শিল্প ও সংস্কৃতি এর সমন্বিত শিখন বিষয়টি পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার পদ্ধতিটি হবে নিম্নরূপ : প্রকৃতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য অবলোকন, অনুভব ও প্রতিলিপি বা প্রতিরূপ তৈরি প্রকৃতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে অবলোকন ও যাপিত অনুভব করে (দেখে, শুনে, স্পর্শ ও অনুধাবন করে জীবনে শিল্পের উপাদান হিসেবে আকার, আকৃতি, রং, সুর, তাল, লয়, ছন্দ ইত্যাদি অনুসন্ধান ও উপলব্ধি করা এবং তার প্রতিলিপি ও প্রতিরূপ তৈরি। রূপান্তর প্রকৃতি ও সংস্কৃতির বৈচিত্র অবলোকন ও অনুভব করে শিল্পের উপাদানসমূহের নান্দনিক ও সৃজনশীল রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ । নান্দনিকতার বহুমাত্রিক প্রকাশ নান্দনিক ও সৃজনশীল রূপান্তরের ধারণা ও যোগ্যতার দৈনন্দিন কাজ ও বিশেষত্ব তৈরিতে বহুমাত্রিকভাবে প্রয়োগ । যাপিত জীবনে নান্দনিকতা যাপিত জীবনে নান্দনিকতার মাধ্যমে মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও গুণাবলির বিকাশ (জাতীয়তা, বিশ্ব-নাগরিকত্ব, পরিবেশ সংরক্ষণ, মানবিকতা, বৈচিত্র্যকে সম্মান, সৃষ্টিশীলতা ইত্যাদি)। ===000=== তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Scroll to Top