City of Education

ধারণায়নঃ ডিজিটাল প্রযুক্তি (Digital Technology)

বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতার বিবরণী

জীবনের সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ, নিরাপদ, নৈতিক, সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জন করে প্রত্যাশিত ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৈরি হওয়া।

বিষয়ের ধারণায়ন

ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়ের ধারণায়নের সময় এই বিষয়ের ব্যাপ্তি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। বরং বিষয়ের ধারণায়ন এমনভাবে করা হয়েছে যে, শিক্ষার্থী শুধু তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকারীই হবে না বরং সে ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জন করবে, ও তার সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের এবং পারিপার্শ্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য নিজস্ব ডিজিটাল সলিউশন উদ্ভাবন করতে পারবে। এর ফলে আইসিটি সক্ষমতার পাশাপাশি তার মাঝে ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতাও তৈরি হবে যা তাকে দক্ষ ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম রূপরেখায় ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়টির ধারণায়নের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ডিজিটাল সাক্ষরতা, তথ্য সাক্ষরতা যার মূল অনুষঙ্গ। ডিজিটাল সাক্ষরতা ব্যবহার করে

শিক্ষার্থীরা সুসংবদ্ধ চিন্তন দক্ষতা অর্জন করবে যার সাহায্যে তারা নিজস্ব ডিজিটাল সলিউশন সৃষ্টি করতে পারবে। এক্ষেত্রে যে চিন্তনদক্ষতাসমূহকে এই ধারণায়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেগুলো হল : কম্পিউটেশনাল চিন্তন, ডিজাইন চিন্তন ও সিস্টেম চিন্তন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ ও সহযোগিতা, সৃজনশীল উদ্ভাবনের যোগ্যতা অর্জন করবে যা তার আইসিটি সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা

করবে।

দক্ষ ডিজিটাল নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরো যে দুটি বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে হবে তা হল : আইসিটির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার, এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রেক্ষাপট। আইসিটি সক্ষমতা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতা দুইক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীকে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়ের ধারণায়নে উঠে আসা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিতভাবে নিচে আলোকপাত করা হল ।

ডিজিটাল সাক্ষরতা : বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি নির্ভর সমাজের উপযুক্ত সদস্য হিসেবে জীবনধারণ করতে ডিজিটাল সাক্ষরতা অত্যাবশ্যক। ডিজিটাল সাক্ষরতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ তথ্য সাক্ষরতা, তবে এর পরিধি আরো ব্যাপক। সুক্ষ্ম চিন্তন দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তির কার্যকারিতা যাচাই করতে পারা, বিভিন্ন প্রয়োজনে দক্ষতার সঙ্গে উপযুক্ত প্রযুক্তির যথাযথ, সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে পারা, এবং নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনও ডিজিটাল সাক্ষরতার অংশ। তথ্য সাক্ষরতা সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিতভাবে নিচে আলোকপাত করা হল :

তথ্য সাক্ষরতা বলতে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য খুঁজে বের করা, তথ্যের নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা, তথ্য ও তথ্যের উৎসের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করাসহ তথ্য ব্যবস্থাপনার সকল দিককে বোঝায়। তথ্য সাক্ষরতা সকল মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আলোচনা করে, এখনকার সময়ে মিডিয়া লিটারেসি বা মিডিয়া সাক্ষরতা এর অন্যতম অনুষঙ্গ। ডিজিটাল মিডিয়ার বিশাল তথ্যভাণ্ডার এখন মানুষের কাছে উন্মুক্ত, মানুষের পছন্দ, অপছন্দ, মতামতের ওপর স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে এসব ডিজিটাল মিডিয়ার। কাজেই যেকোনো মিডিয়া থেকে তথ্য নেবার আগে উৎস ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিশ্বাসযোগ্যতা ইত্যাদির নির্মোহ বিশ্লেষণ করা জরুরি। একই সঙ্গে দরকার তথ্য ব্যবহার বা শেয়ার করার আগে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও ইস্যুসমূহ বিবেচনা করে দায়িত্বশীল আচরণ চর্চা করা। তাছাড়া ডিজিটাল মিডিয়াকে শুধু তথ্য গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে না নিয়ে নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ারের প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি যেহেতু দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও ব্যবহারিক দক্ষতা ছাড়া তাই তথ্য সাক্ষরতা অর্জন করা কঠিন । অন্য দিকে একবিংশ শতকে প্রযুক্তি ব্যবহারকারী হিসেবে শুধু নয়, বরং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীরা যাতে উদ্ভাবকের ভূমিকা নিতে পারে সেটাও বিবেচ্য। আর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সৃজনশীল চিন্তা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা যাতে কার্যকর ডিজিটাল সলিউশন উদ্ভাবন করতে পারে সেজন্যেও ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যাতে ডিজিটাল সাক্ষরতা অর্জন করতে পারে এবং জীবনব্যাপী এই দক্ষতা যাতে কাজে লাগাতে পারে সেই অনুযায়ী অর্জন উপযোগী যোগ্যতা নির্ধারিত হয়েছে।

ডিজিটাল সাক্ষরতা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা যেসব যোগ্যতা অর্জন করবে তাদের নিচের ডাইমেনশনগুলোতে ব্যাখ্যা করা যায় :

যোগাযোগ ও সহযোগিতা : তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীকে এখন বলা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ, যেখানে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে যে-কেউ অন্য প্রান্তের কারো সঙ্গে মুহূর্তেই যোগাযোগ করতে পারে। ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়াও সমস্যা সমাধানের জন্য হোক বা অন্য যেকোনো সৃজনশীল কাজের জন্য হোক প্রযুক্তিনির্ভর এই পৃথিবীতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যোগাযোগের সক্ষমতা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এক সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন। এই ক্ষেত্রে শুধু আইসিটি ব্যবহারের দক্ষতাই যথেষ্ট নয়, বরং নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট টার্গেট গ্রুপের জন্য উপযুক্ত যোগাযোগের মাধ্যম নির্ধারণ করে যোগাযোগের দক্ষতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ।

সমস্যা সমাধান : ব্যক্তিগত বা সামষ্টিক প্রয়োজনে বা কোনো সমস্যা সমাধানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথাযথ ও সৃজনশীল ব্যবহার করতে পারার সক্ষমতা অর্জন করার উপরে এই রূপরেখায় বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে । শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, বরং যেকোনো সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সবগুলো ধাপে যথাযথভাবে উপযুক্ত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিক্ষার্থীদের সক্ষম করে তোলার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন : সমস্যা সমাধানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সৃজনশীল ব্যবহারই শুধু নয়, বরং নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগ করে ডিজিটাল সমাধান সৃষ্টি এই ধরনের যোগ্যতার অন্তর্গত।

কম্পিউটেশনাল চিন্তন : ডিজিটাল প্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জনের জন্য মূল যেই দক্ষতাগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম হল কম্পিউটেশনাল চিন্তন। এটি মূলত সমস্যা সমাধানের একটি সুসংবদ্ধ গাণিতিক চিন্তন প্রক্রিয়া, যার মধ্যে রয়েছে জটিল সমস্যাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে আলাদা করা, তথ্য উপাত্ত যৌক্তিকভাবে সাজানো, সমস্যা সমাধানের ধাপগুলোকে ধারাবাহিকভাবে ক্রম অনুযায়ী বিন্যস্ত করা, প্যাটার্ন খুঁজে বের করা ইত্যাদি।

ডিজাইন চিন্তন : ডিজাইন চিন্তন ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ডিজাইন চিন্তন বলতে মূলত বোঝায় কোন সমস্যার সৃজনশীল, অভিনব ও কার্যকরী সমাধান উদ্ভাবন এবং তা যৌক্তিক মানদণ্ডের বিচারে যাচাই-বাছাই করার সুবিন্যস্ত প্রক্রিয়া ।

সিস্টেম চিন্তন : সিস্টেম চিন্তন বলতে মূলত বোঝায় কোনো সুনির্দিষ্ট সমস্যা ও তার প্রস্তাবিত সমাধান, সংশ্লিষ্ট সিস্টেমের প্রকৃতি এবং পারিপার্শ্বিক সামাজিক প্রেক্ষাপটের আন্তঃসম্পর্ক উদ্ঘাটনের জন্য একটা সমন্বিত প্রয়াস । ডিজিটাল সিস্টেম কীভাবে কাজ করে, এর বিভিন্ন উপাদান ও তাদের মিথস্ক্রিয়া কীভাবে গোটা সিস্টেমকে প্রভাবিত করে, এবং ডিজিটাল সিস্টেমসমূহের পরিবর্তন সমাজ, অর্থনীতির উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে সেসবও এখানে বিবেচ্য বিষয়।

উপরে উল্লেখিত ডাইমেনশনগুলোতে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে যে দুটি বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠতে হবে তা হল : আইসিটির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট ।

আইসিটির নিরাপদ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার : তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে যোগাযোগ অভাবনীয় সহজ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু উল্টো দিকে সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন ঝুঁকি । এসব ঝুঁকি সম্পর্কে জানাই শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট নয়, বরং এই ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহারের দক্ষতা থ াকাও জরুরি। মেধাস্বত্ব রক্ষার নৈতিক ও আইনি কাঠামো, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ ও সামাজিক কাঠামোতে এর নানা প্রভাব সম্পর্কিত আইন ও নৈতিক কাঠামো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা তাই দরকার। একই সঙ্গে প্রয়োজন ব্যক্তিগত পরিচয়, গোপনীয়তা এবং অনুভূতি, রীতি-নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রভৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করা ।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা : ডিজিটাল সক্ষমতা অর্জন করতে নির্দিষ্ট সামাজিক প্রেক্ষাপটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির চাহিদা, প্রাপ্যতা, ব্যবহার ইত্যাদি বিবেচনা যেমন জরুরি, তেমনি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সামাজিক প্রেক্ষাপটকে কীভাবে প্রভাবিত করে সেটিও পর্যালোচনা করা জরুরি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল; আর এ পরিবর্তনশীলতা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকেও বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে সমাজে একদিকে যেমন কিছু ঝুঁকি তৈরি হয় তেমনি নতুন প্রযুক্তির কারণে উন্মোচিত হয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলা করে প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানোর দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা প্রয়োজন । গত শতকের শেষভাগে ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবনের পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি যে গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে এই সক্ষমতা অর্জনের জন্য শুধু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা যথেষ্ট নয়। বরং অর্জিত যোগ্যতার প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে এই প্রেক্ষাপট কীভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন থেকে শুরু করে কর্মজাতে তার কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ খুবই প্রয়োজন । উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা দুরকম সক্ষমতা অর্জন করবে, সেগুলো হল : আইসিটি সক্ষমতা এবং ডিজিটাল সলিউশন উদ্ভাবন ।

আইসিটি সক্ষমতা : বর্তমান সময়ে পৃথিবীর বড় অংশের মানুষের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে এই অভ্যস্ততা বেড়ে চলেছে। তাই শিক্ষাক্রম রূপরেখায় বর্ণিত যোগ্যতাসমূহে দৈনন্দিন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শেখার দক্ষতার চেয়ে এখন বেশি প্রাধান্য পেয়েছে দৈনন্দিন জীবনে তথ্য- প্রযুক্তির নিরাপদ, নৈতিক, যথাযথ, কার্যকর ও পরিমিতভাবে ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করা ।

ডিজিটাল সলিউশন উদ্ভাবন : একবিংশ শতকের বাস্তবতা সামনে রেখে ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী সুদক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষার একটি লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি সক্ষমতা গড়ে তোলা, সেই সূত্র ধরে এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও অভিনব ডিজিটাল সলিউশন সৃষ্টির সক্ষমতা অর্জনের দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর ফলে সে শুধু বর্তমান সময়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে পারবে তা-ই নয়, বরং পরবর্তী জীবনেও তার বিভিন্ন সম্ভাবনার দরজা খোলা থাকবে।

ডিজিটাল সিটিজেনশিপ : উপযুক্ত সকল বিষয়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী যাতে ডিজিটাল নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে তার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এই রূপরেখায়। একটি ডিজিটাল সমাজে শিক্ষার্থী যাতে দক্ষতার সঙ্গে নিজের অবস্থান করে নিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে ডিজিটাল সিটিজেনশিপকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। একজন ডিজিটাল নাগরিক যেসব দিক দিয়ে যোগ্যতা অর্জন করবে বলে প্রত্যাশা করা হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো :

  • ডিজিটাল সাক্ষরতা ডিজিটাল সলিউশন সৃষ্টি
  • ভার্চুয়াল পরিচিতি (Digital footprint)
  • ডিজিটাল সিস্টেমে প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা
  • ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা ও শিষ্টাচার
  • ডিজিটাল মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ
  • সাইবার অপরাধ
  • বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ও মেধাস্বত্ব

প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি আলাদা বিষয় আকারে থাকছে না, তাই এই স্তরের সকল শিখন যোগ্যতা ক্রস-কাটিং হিসেবে গণিতসহ অন্যান্য সকল বিষয়ের শিখন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত হবে।

===000===

তথ্যসূত্র : শিক্ষাক্রম রুপরেখা-2021

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top